সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: মোঃ শাহিন আলম– আমাদের দেশে বৃষ্টি মূলত বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ মাস থেকেই হয়ে থাকে । বর্ষা এলে খালবিল, নদীনালা পানিতে টয়টুম্বুর হয়ে যায়। ডোবানালা ভরে যায় বর্ষার পানিতে।
গুড়িগুড়ি বৃষ্টি রাতদিন চলতেই থাকে। আর সেই ডোবানালায় শুরু হয় নানা প্রজাতির ব্যাঙের উৎসব। আকাশে মেঘ জমলেই ব্যাঙের ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ডাক শোনা যায়। ব্যাঙ কি করে বুঝে যে বৃষ্টি আসছে?তবে এক্ষেত্রে ব্যাপারটা অন্যরকম ।
ব্যাঙ বলে কি তাদের ঘর সংসার থাকবে না?হ্যা অবশ্যই আছে ।এদের এক সাথে ডাকার কারন এদের প্রজনন মৌসুম । যে বর্ষায় তারা এত ডাকাডাকি করে সেই বর্ষাই হল ব্যাঙের প্রজননকাল।সাধারণত পুরুষ ব্যাঙই মূলত ডেকে থাকে স্ত্রী ব্যাঙকে আকর্ষন করার জন্য।
এসময় পুরুষ ব্যাঙ স্ত্রী ব্যাঙকে আকৃষ্ট করে প্রজনন সম্পন্ন করে ।আর একটা ডোবা ,নালায় তো কম পরিমাণ পুরুষ ব্যাঙ থাকে না ।তাই আকৃষ্ট করার চেষ্টা এক বিশাল ব্যাঙ কনসার্ট সৃষ্টি করে ।
তববে এর যে ভিন্ন মত নেই তাও নয় ।অনেকে ব্যাঙের এই ডাক গবেষকরা ভিন্ন ভাবে বিশ্লেষণ করেছেন ।যেমন :ব্যাঙেরা বুঝতে পারে ভূমিকম্প সতর্কতা, যা বিজ্ঞানীরাও এখনও আবিষ্কার করতে পারেননি। তবে ইতালির এক গবেষক প্রফেসর গ্রান্ট।
তিনি গবেষণার জন্য বেশকিছু কুনো ব্যাঙের গায়ে ঝুলিয়ে দেন বিশেষ সংকেতযুক্ত যন্ত্র। ভূমিকম্পের ৭ দিন আগে ব্যাঙগুলো ডাকাডাকি ও অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। ভূমিকম্প শেষ হওয়ার ৬ দিন পর চিহ্নিত ব্যাঙগুলো পুনরায় গবেষণাস্থলে ফিরে এল এবং তার গবেষণা সফল হল। জানা গেল, এভাবেই প্রাকৃতিক দুর্যোগে তারা সতর্কতা জানায় ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।